রাগটা বেশি তখনই বেড়ে যেতো যখন মেয়ে বেস্ট ফ্রেন্ডের সাথে উনাকে দেখতাম। ছবি : vixendaily.com
📮 মনচিঠি টেক্সট-৩৯ (প্রেরকের সম্মতিতে প্রকাশিত)
আমি আমার ব্যাপারে সবরকম ইনফর্মেশন দেয়ার চেস্টা করেছি আপনাদের ফরম এ। আমি আসলে অনেক বেশি ডিপ্রেসড। অনেক দিন থেকেই এই প্রব্লেম ফেস করছি। ফার্স্ট থেকেই শুরু করছি।
১. আমি আমার ১ম রিলেশন ৩ বছরের মাথায় ব্রেকাপ করার পর থেকেই পাগলের মত হয়ে যাই। আমার ব্রেকাপের কারণ হলো আমার বিএফ তার কাজিনের সাথে লুকিয়ে রিলেশন চালিয়ে যাচ্ছিলো। আমি এটা জানার পর থেকেই তাকে অনেকবার বুঝাই। হাতে-পায়ে ধরে চেয়েছি ঐ মেয়ের সাথে রিলেশন ব্রেকাপ করুক। কিন্তু সে করেনি। আমায় ফেলে চলে যায়। দেন শুরু হয় আমার পাগলামি, চুপচাপ থাকা, অল্পতে রেগে যাওয়া, কান্নাকাটি করা, সবার সাথে বিশেষ করে ফ্যামিলি মেম্বারদের সাথে অতিরিক্ত মিসবিহেভ করা।
২. এরপর প্রায় ১ বছর পর আমার প্রেজেন্ট বিএফ এর সাথে আমার আস্তে আস্তে রিলেশন হয়। যদিও এখন পর্যন্ত কেউ কাউকে প্রপোজ করিনি। আমাদের এত্ত ভালো আন্ডারস্ট্যান্ডিং যে বলার বাইরে। আমি পুরো চেঞ্জ হয়ে যাই। আবার নতুন করে লাইফ স্টার্ট করি। কিন্তু রিলেশনের ১০ মাসের মাথায় আমি আস্তে আস্তে আবার চেঞ্জ হতে শুরু করি। আবার অতিরিক্ত রাগ, মিসবিহেভ, কান্নার পরিমাণ বাড়তে লাগলো। উনি সব সময় মানিয়ে চলেছেন। কারণ উনার রাগ হলে আমি ঠাণ্ডা মাথায় সব মেনে নিয়ে উনার কথা শুনি অল টাইম। আর আমার রাগের সময় উনিও সেমটাই করতেন। রাগটা বেশি তখনই আমার বেড়ে যেতো যখন উনার একজন মেয়ে বেস্ট ফ্রেন্ডের সাথে উনাকে দেখতাম। যাক উনি বোন বলেই দেখতেন কারণ ওনার বোন নেই তাই। আমি শুরুতে সেটা মেনে নিয়ে থাকতেও পারতাম। কিন্তু এরপর থেকেই মনে হতে লাগলো ঐ মেয়েটা আমার চেয়ে বেশি ইম্পোর্টেন্স পাচ্ছে। আর উনিও আমার এই বিহেভ মেনে নিতে পারেন নি। কারণ উনি শুরু থেকেই বলেছেন, উনার এই ফ্রেন্ডকে নিয়ে যেনো কখনোই সন্দেহ না করি। কিন্তু আমি তো সন্দেহ করিনি। জাস্ট খারাপ লাগে উনার এত ফ্রি হওয়াতে।
৩. ইদানিং এসব নিয়ে ঝগড়া হতে হতে প্রব্লেম এতই বেড়ে গেছে যে, যেখানে আমরা রাগ করে ১৮ ঘন্টার বেশি থাকতে পারতাম না সেখানে আমরা মাসের পর মাস কথা না বলেই থাকছি। এখন প্রব্লেম হলো উনি উনার বার্থডের দিন উনি বলে দিছে যে উনি আর আমার সাথে রিলেশন রাখবেন না। আমি উনাকে গিফট দিবো বলে ১৫ দিন আগে থেকেই উনার জন্য গিফট কিনে রাখার পর এই কথা ঐ দিনই শোনার পর আমি চরমভাবে শক পাই। কোনোভাবেই এটা মেনে নিতে পারছিনা। দেন উনি বললেন উনি আর কোনো রিলেশনই করবেন না কোনো মেয়ের সাথে। আল্লাহর হুকুম হলে যেখানে বিয়ে হয় সেখানেই বিয়ে করবেন। এতে আমি প্রচুর পরিমাণে ভেঙে পড়ি। খাওয়া, ঘুম, জব সব কেমনে চলে নিজেও জনিনা। দেন উনাকে অনেক রিকোয়েস্ট করার পর উনি বললেন যে, আগামী ১ বছর এর মধ্যে আমি চেঞ্জ হতে পারলে উনি ওনার ফ্যামিলিতে আমার কথা বলবেন। কিন্তু এই ১ বছর উনার সাথে কোনো রকম কন্টাক্ট রাখতে পারবোনা। আমি এতেও রাজি হই। এখন আমি সব মেনে নিলেও উনাকে ছাড়া থাকতে পারছিনা।
✪ নোটঃ
• আমি গত ৫ বছর হলো সাইকোলজিস্টের ট্রিটমেন্টে আছি। আমার ফার্স্ট বিএফ এর মেন্টালি টর্চারের জন্য। ইদানিং আমি কী করছি নিজেই জানিনা। ওয়ার্কপ্লেসে কারো সাথে অ্যাডজাস্ট করতে পারছিনা। আমি এখন কীভাবে নর্মাল লাইফে ব্যাক করবো?
• আমার প্রেজেন্ট বিএফ সেম এজ এর।
💌 মনচিঠি টেক্সট-৩৯ এর উত্তর
DUOS এর ‘মনচিঠি’তে সাহায্য চাওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি । আপনার চিঠিটি আমি মনোযোগ দিয়ে ও ধৈর্য সহকারে পড়েছি এবং আপনাকে উত্তর দিতে পেরে আনন্দবোধ করছি।
আপনি অনেক সুন্দর করে পয়েন্ট আকারে আপনার মনের কথাগুলো লিখেছেন। তাই আমার বুঝতে অনেক সুবিধা হয়েছে। সে জন্য আপনাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
যেহেতু আপনি গত ৫ বছর ধরে সাইকোলজিস্ট এর সাথে আছেন, তাই আমি ধরে নিলাম উনার সাথে আপনি সব কিছু শেয়ার করেছেন এবং সেশন থেকে যা পাচ্ছেন/শিখছেন সে অনুযায়ী আপনার জীবন পরিচালনা করছেন। হয়তোবা এতো দিনে মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য আপনি অনেকগুলো এক্সারসাইজ/টেকনিক শিখে থাকবেন।
আপনার চিঠি পড়ে যেটা বুঝতে পারলাম তা হলো, আপনি প্রথম ব্রেকআপের পরে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন, তখন থেকেই অল্পতে রেগে যাওয়া, কান্না করাসহ পরিবারের সদস্যদের সাথে মিসবিহেভও করেছেন। এক বছর পর নতুন রিলেশনে যান, তখন আবার স্বাভাবিক ছিলেন এবং আপনাদের মধ্যে ভালো আন্ডার্স্ট্যান্ডিং ছিলো।
প্রায় ১০ মাসের মাথায় আপনি আবার চেঞ্জ হতে শুরু করেন, অতিরিক্ত রাগ করা, কান্না করা, মিসবিহেভ করা ইত্যাদি আচরণ করতে শুরু করেন। আপনার বয়ফ্রেন্ডের সাথে তার মেয়ে বেস্ট ফ্রেন্ডের অতিরিক্ত ঘনিষ্ঠতা বা যোগাযোগ আপনি পছন্দ করতেন না বা মেনে নিতে পারতেন না। সেই সাথে আপনার মনে হত যে আপনার বয়ফ্রেন্ড আপনার থেকে সে মেয়ে বেস্ট ফ্রেন্ডকে বেশি ইম্পোর্টেন্স দিচ্ছে এবং সেটা আপনার খারাপ লাগে। এটাকে রাগের একটা কারণ হিসেবে দেখছেন।
যেখানে আগে আপনি উনার সাথে কথা না বলে থাকতে পারতেন না, এখন দীর্ঘ সময় কথা না বলেই থাকছেন। উনার জন্মদিনে আপনার অনেক প্লান ছিলো যেটা বাস্তবায়ন করতে পারেন নি। উনি আপনার সাথে রিলেশন রাখবেন না যেটা আপনি মেনে নিতে পারছেন না। উনার সব ধরনের শর্ত মেনে নিয়ে হলেও আপনি উনার সাথে থাকতে চাচ্ছেন।
প্রথম বিএফ এর মানসিক অত্যাচারের জন্য আপনি পাঁচ বছর ধরে সাইকোলজিস্টের পরামর্শ নিচ্ছেন। নিজে কী করছেন না করছেন সে ব্যাপারে সচেতন না। এতে আপনার দৈনন্দিন জীবন ও কাজ ব্যাহত হচ্ছে। কাজে মনযোগ দিতে পারছেন না। এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চাচ্ছেন।
আমি যদি আপনার চিঠিটি পড়ে ঠিকঠাক মতো বুঝতে পারি তাহলে পরবর্তী ধাপে যাওয়া যাক।
যেহেতু দীর্ঘ সময় ধরে আপনি সাইকোলজিস্টের পরামর্শ নিচ্ছেন, আপনাদের সেশন কোন অবস্থানে আছে সেটা জানতে পারলে উত্তর দিতে সুবিধা হত। চলমান সেশনে আছেন নাকি ফলো আপ সেশনে আছেন সেটা উল্লেখ করেন নি। এছাড়া আপনি এজন্য কোনও ঔষধ সেবন করছেন কি না সেটা জানা প্রয়োজন ছিলো।
যাই হোক আপনি চিঠিতে অনেকগুলো সমস্যার কথা বলেছেন। তার মধ্যে একটি হলো আপনি কী করছেন নিজেই যানেন না। অর্থাৎ আপনি কাজে মনযোগী হতে পারছেন না। এক্ষেত্রে আপনার জন্য মেডিটেশন অনেক উপকারে আসতে পারে। সঠিক নিয়মে আপনাকে এটা করতে হবে। এবং প্রতিদিনের অভ্যাসে পরিণত করতে হবে। আপনি যদি আগে থেকেই এর সম্পর্কে জেনে থাকেন তাহলে সেই অনুযায়ী এটা করতে পারেন। এছাড়াও আমি আপনাকে বলে দিচ্ছি কিভাবে আপনি এটা করবেন।
তার আগে বলে নিই মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশন কি?
আমরা যখন কোন কিছু নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করি, তখন আমাদের সমস্যাটি সমাধানের জন্য ঠিক কী প্রয়োজন, সেই ব্যাপার থেকে আমাদের ফোকাসটি সরে যায় ৷ আর আমরা আরও বেশি করে সমস্যায় জড়িয়ে পড়ি। ওই সময় সর্বপ্রথম আপনাকে যা করতে হবে তা হলো মনকে শান্ত করা। সেজন্য আপনি নিয়মিত মেডিটেশন বা ধ্যান করতে পারেন। এগুলো আমাদের মনকে শান্ত রেখে আমাদের মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে।
মনোবিজ্ঞানে একটা শব্দ রয়েছে- মাইন্ডফুলনেস। মাইন্ডফুলনেস হলো দেহের এমন একটা পর্যায়, যেখানে আমাদের দেহ মস্তিষ্কের সাথে সামঞ্জস্য রক্ষা করে দেহকে একটা সুস্থির অনুভব দান করে। এই মাইন্ডফুলনেসই মূলত মেডিটেশনের সংজ্ঞা উপস্থাপন করে। সহজ করে বললে, মেডিটেশন হলো মানবদেহ, মন ও মস্তিষ্ককে শান্ত ও শিথিল করার একটি চর্চাসরূপ। এটিকে একধরনের ব্যায়ামও বলা যায়। তবে এটি আর ১০টি ব্যায়ামের মত দেহের মাংসপেশির বিকাশ ঘটায় না, বরং এই ব্যায়াম অল্প সময়ের জন্য হলেও ব্যক্তির মনস্তাত্ত্বিক অবস্থাকে সবকিছু থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে ও শূন্য মস্তিষ্ককে আরও বেশি একাগ্র হওয়ার পথে ধাবিত করে।
কম্পিউটার চালানোর সময় উইন্ডোজ ধীরগতি হয়ে গেলে আমরা যেমন মাউসের রাইট ক্লিক করে উইন্ডোজকে রিফ্রেশ করে নিই, ঠিক তেমনি মেডিটেশন আমাদের দেহের জন্য কম্পিউটারে রিফ্রেশ বাটনের মত কাজ করে।
ইউটিউব বা গুগলে অসংখ্য মেডিটেশনের টিউটোরিয়াল রয়েছে। সেখান থেকে আপনি আপনার পছন্দ ও স্বাচ্ছন্দ্য অনুযায়ী এক বা একাধিক অনুশীলন বেছে নিয়ে সেগুলো চর্চা করতে পারেন।
মানসিকভাবে স্থির থাকার জন্য আমরা সব সময় Breathing Exercise করার কথা বলে থাকি। এজন্য আপনাকে প্রথমে লম্বা করে মুখ দিয়ে শ্বাস নিতে হবে, কিছুটা সময় তা ধরে রাখতে হবে (৪/৫ সেকেন্ড), তারপর ধীরে ধীরে মুখ দিয়ে প্রশ্বাস ছাড়তে হবে। এভাবে আপনি ৩/৫ বার এই ব্যায়াম করবেন। এই ব্যায়াম আপনার বুক ধড়ফড় ও অস্বস্তি ভাব কমাতে সাহায্য করবে।
এছাড়াও আরো ভালোভাবে বোঝার জন্য আপনি একটা ভিডিও দেখতে পারেন – “https://youtu.be/u6zGTgrO90Y”
রাগ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নিচের ধাপ গুলো অনুসরণ করতে পারেনঃ
✪ প্রথম ধাপঃ
আপনি যে রাগ করেছেন সেটা সম্পর্কে অবগত হন, আনন্দ, দুঃখ বা ভয়ের মত রাগও হচ্ছে একটি আবেগ। তাই এটাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এর পেছনের কারণ খতিয়ে দেখুন, কেন এটি ঘটছে সেটা খুজে বের করুন।
অনেকেই ভয়, দুর্বলতা বা বিব্রতবোধের মতো অন্যান্য আবেগকে প্রকাশ না করার জন্য রাগকে ব্যবহার করেন। এটি বিশেষত তাদের ক্ষেত্রে সত্য, যারা শিশু হিসাবে তাদের আবেগ প্রকাশ করতে উত্সাহিত হন নি তবে এটি যে কারো জন্য প্রযোজ্য হতে পারে।
আপনি যখন রাগ বোধ করবেন, তখন নিজের ক্রোধের পেছনের কারণ অনুসন্ধান করুন যা আপনি সত্যই অনুভব করছেন। আপনি রাগের পেছনের কারণ সনাক্ত করতে পারছেন কিনা তা দেখুন।
আপনি রাগের কারণ খুজে পেলে আরো যথাযথ ভাবে আপনার অনুভূতি প্রকাশ করতে পারবেন।
✪ দ্বিতীয় ধাপঃ
আপনার রাগ করার পেছনে যে বিষয়গুলো ট্রিগার হিসেবে কাজ করে সেগুলো এবং এর লক্ষণগুলো সম্পর্কে জানুন।
আমাদের সকলের জীবনে কিছু নির্দিষ্ট ব্যাপার থাকে যা আমাদের ক্রুদ্ধ করে এবং এতে আমরা সহজেই রেগে যাই। আমাদের রেগে যাওয়ার পেছনে ট্রিগার এবং লক্ষণগুলো সম্পর্কে সচেতন হলে আমাদের রাগ নিয়ন্ত্রণ করা অনেক সহজ হয় । রাগের লক্ষণগুলো সনাক্ত করা প্রায়শই সহজ। উদাহরণস্বরূপ, লোকেরা প্রায়ই বলে যে, তারা রেগে গেলে তাদের হার্টবিট বৃদ্ধি পায়, নিশ্বাসের গতি বৃদ্ধি পায় ইত্যাদি।
ট্রিগারগুলো প্রায়শই খুব ব্যক্তিগত হয় তবে বেশ কয়েকটি সাধারণ বিষয় রয়েছে যা ট্রিগারগুলো সনাক্ত করতে আপনাকে সহায়তা করতে পারে। যেমন- নেতিবাচক চিন্তার নিদর্শনগুলো প্রায়শই রেগে যাওয়ার সাথে জড়িত।
১. আপনি অতিরিক্ত-জেনারেলাইজিং করা শুরু করলে (যেমন- “তিনি আমাকে কখনোই সাহায্য করেন না!” ” সে আগের মত আমাকে ইম্পোর্টেন্স দেয় না”, “আমার প্রতি তার টান বা আকর্ষণ কমে গেছে” ইত্যাদি) বা
২. লোকেরা কী ভাবছে সে সম্পর্কে নিজে নিজে নেগেটিভ সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলে আমরা সেগুলোকে ট্রিগার বলতে পারি।
আপনি যে জায়গায় বা মানুষের কাছে মানসিকভাবে বিপর্যস্থ হয়েছেন তাদের কাছে বা সেই যায়গাতে আপনার আবেগগুলো নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়। যদি আপনার ক্রোধ অন্য কোন আবেগের বহিঃপ্রকাশ হয় তাহলে সেটা চিহ্নিত করুন। ঠিক কী কারণে আপনি মানসিক চাপ অনুভব করছেন সে ব্যাপারে সচেতন হন।
✪ তৃতীয় ধাপঃ
আপনার মেজাজ শান্ত করার উপায়গুলো শিখুন। আমরা যেমন রাগের জন্য ট্রিগার পেয়েছি, ঠিক তেমনি আমাদের এমন কিছু উপায় রয়েছে যাতে আমরা ‘শীতল হই’ বা রাগ নিয়ন্ত্রন করতে পারি। রাগ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কিছু কৌশল শিখে রাখতে পারেন। যাতে করে আপনি যখন আপনার রাগের লক্ষণগুলো লক্ষ্য করেবেন তখন আপনি সে কৌশলগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
কৌশলঃ
১. এজন্য প্রথমে আপনাকে সচেতনভাবে ও ধীরে ধীরে শ্বাস নিতে হবে , যেভাবে আপনি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। লম্বা করে মুখ দিয়ে শ্বাস নিতে হবে, কিছুটা সময় তা ধরে রাখতে হবে (৪/৫ সেকেন্ড), তারপর ধীরে ধীরে মুখ দিয়ে প্রশ্বাস ছাড়তে হবে। এভাবে আপনি ৩/৫ বার এই ব্যায়াম করবেন। এই ব্যায়াম আপনার বুক ধড়ফড় ও অস্বস্তি ভাব কমাতে সাহায্য করবে।
এছাড়াও আরো ভালো ভাবে বুঝার জন্য আপনি একটা ভিডিও দেখতে পারেন – “https://youtu.be/u6zGTgrO90Y”
২. শারীরিকভাবে আপনি কেমন অনুভব করুন সেদিকে মনোনিবেশ করুন। আপনার দেহের প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করার জন্য কিছুক্ষণ সময় নিন। আপনার শ্বাসের কী হয়েছে? আপনার হার্ট রেট? আর কি বদলেছে? এগুলোর প্রতি মননিবেশ করুন। কখনো কখনো কেবল আপনার শরীরে শারীরিক পরিবর্তনগুলোর প্রতি লক্ষ্য করা আপনাকে শান্ত হতে সহায়তা করতে পারে, কারণ এটি আপনার মনকে তাৎক্ষনিক সমস্যা থেকে সরিয়ে নেয় ও সম্পূর্ণ মনযোগ আপনার দেহের পরিবর্তনের দিকে নিয়ে আসে।
৩. ধীরে ধীরে দশ বা তার বেশি সংখ্যক গননা করুন। রাগের সময় যার উপর রাগ হয়েছে তাকে কিছু বলার আগে ধীরে ধীরে দশ পর্যন্ত গননা করুন। এটি আপনাকে পরবর্তীতে আফসোস করতে হতে পারে এমন কিছু বলা থেকে বিরত থাকতে সহায়তা করবে।
৪. আমরা যখন রাগান্বিত হই তখন উত্তেজনার দিকে ঝুকি বা অতিমাত্রায় উত্তেজিত হয়ে যাই। আস্তে আস্তে শরীরকে প্রসারিত করা বা হাত পা ছুড়াছুড়ি করা (ব্যায়ামের মত) যা আমাদেরকে কিছুটা শিথিল হতে সহায়তা করতে পারে। এগুলো আবার ক্রোধের কিছু শারীরিক লক্ষণকে প্রতিহত করে দেয় এবং তাই আমরা স্বস্থি বোধ করি। আপনি এটা করে দেখতে পারেন।
✪ চতুর্থ ধাপঃ
আপনার ক্রোধ প্রকাশের অন্যান্য উপায়গুলো সন্ধান করুন। এমন কিছু সময় রয়েছে যখন রাগ করা যথাযথ হয় বা করার দরকার হয়। তবে সেটা ধংসাত্মকভাবে না।
১. আপনার রাগ শান্তভাবে প্রকাশ করার জন্য আপনাকে একটি স্বাস্থ্যকর উপায় খুঁজে বের করতে হবে, যাতে আপনার মনের কথা বা চাওয়া পাওয়াগুলো আরেকজনকে ভালোভাবে বুঝিয়ে বলতে পারেন ।
২. সমস্যার নয় সমাধানগুলোতে মনোনিবেশ করুন। আপনাকে কী ক্ষুব্ধ করেছে তা নিয়ে চিন্তা করার পরিবর্তে কীভাবে সমস্যাগুলো সমাধান করবেন সেদিকে মনোনিবেশ করার চেষ্টা করুন, যাতে ভবিষ্যতে সেগুলো আবার দেখা না দেয়।
৩. নিজেকে সময় দিন। আপনি নিজের ক্রোধ থেকে শান্ত না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন এবং তারপরে নিজেকে শান্তভাবে প্রকাশ করুন। ঐ মুহুর্তে আক্রমণাত্মক না হয়ে আপনার ইতিবাচক হওয়া জরুরী ।
৪. সম্পর্কের দিকে মনোনিবেশ করুন, এবং ক্ষোভগুলো ধরে রাখবেন না। আমাদের সকলকে মেনে নিতে হবে যে প্রত্যেকেই ব্যক্তিত্বের দিক থেকে আলাদা এবং আমরা অন্যের অনুভূতি, বিশ্বাস বা আচরণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। তাই তাৎক্ষনিক বিষয়ে মনোনিবেশ করার পরিবর্তে নিজেদের মধ্যকার সম্পর্কের দিকে মনোনিবেশ করুন।
৫. পরিস্থিতি হ্রাস করতে হিউমার (কৌতুক/রসবোধ) ব্যবহার করুন ।
✪ পঞ্চম ধাপঃ
১. নিজের যত্ন নিন। আপনি যদি শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ হন তবে যেকোন ধরণের সংবেদনশীলতা বা আবেগিয় মুহুর্তগুলো পরিচালনা করা আপরার জন্য সহজ হবে ।
২. নিয়মিত ব্যায়াম করুন ও সুস্থ থাকুন। রাগ করার সময় আমাদের শরীর থেকে যে হরমোনগুলো নিঃস্বরণ হয়— প্রধানত করটিসোল এবং অ্যাড্রেনালাইন। আমরা স্ট্রেস ফিল করলে বা ব্যয়াম করলেও এগুলো উৎপন্ন হয়। আপনি যখন নিয়মিত ব্যায়াম অনুশীলন করবেন, তখন আপনার শরীর শিখবে কীভাবে আপনার অ্যাড্রেনালিন এবং কর্টিসল স্তরগুলো আরও কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। শারীরিকভাবে সুস্থ ব্যক্তিদের এন্ডোরফিনগুলোর সর্বোত্তম মাত্রায় থাকে, এ হরমোনগুলো আপনাকে ভাল বোধ করায় তাই রাগ অনুভব করার সম্ভাবনা কমে যায়।
৩. পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমানোর অভ্যাস করুন। ঘুম জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ভাল মানের ঘুম রাগসহ অনেক শারীরিক এবং মানসিক সমস্যার সাথে লড়াই করতে সহায়তা করে।
৪. আপনার মানসিন চাপ ম্যানেজ করতে শিখুন। মানসিক চাপের মধ্যে থাকা আবেগগুলো পরিচালনা করা অনেক কঠিন কাজ। আপনার স্ট্রেসের স্তরগুলো সম্পর্কে সচেতন হন এবং আপনি এগুলো হ্রাস করতে পারেন কিনা তা দেখুন।
আপনি চিঠিতে বলেছেন যে, তাকে ছাড়া থাকতে পারবেন না। আবার আপনি নরমাল লাইফে ব্যাক করতে চাচ্ছেন। পুরো বিষয়টা কন্ট্রাডিক্টরি। আপনি আপনার লাইফের সবকিছু পরিবর্তন বা ম্যানেজ করতে পারবেন কিন্তু অন্য কারোর লাইফ বা মন মানসিকতা পরিবর্তন করতে পারবেন না।
তাই আপনি নিজেকে পরিবর্তনের মাধ্যমে, নিজের লাইফস্টাইল পরিবর্তনের মাধ্যমে নিজের দৈনন্দিন অভ্যাস পরিবর্তন বা পরিবর্ধনের মাধ্যমে আপনি স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারেন। আজ কেউ আপনাকে যদি বলে “তুমি এইরকম এইরকম হলে আমি তোমার সাথে থাকবো,” আগামীতে সে অন্য কথাও বলতে পারে। কারণ তার মনের উপর শুধু মাত্র তার কন্ট্রোল আছে। যেমনটা আপনার মনের উপর আপনার থাকার দরকার।
তাই তিনটি পয়েন্ট বলি, সেগুলো বিবেচনা করে দেখবেন-
১. আপনি যা পরিবর্তন করতে পারবেন না কেবল তা নিয়ে চিন্তা করা কতটা যুক্তিযুক্ত বলে মনে করেন। বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে আপনি যা করতে পারবেন তাতে মনোনিবেশ করুন। আপনি যদি কোনকিছু পরিবর্তন করতে না পারেন, তবে এই বাস্তবতাটি গ্রহণ করুন।
২. আপনার যা কিছু আছে, যেমন- অনেকগুলো অর্জনের কথা বলেছেন, অনেক রিসোর্স রয়েছে, পরিবার-বন্ধুবান্ধব, এগুলো সহ এই পর্যন্ত যত অর্জন আছে তার জন্য নিজেকে গর্বিত মনে করুন।
৩. আপনার লক্ষ্য ও স্বপ্ন পুরনের দিকে অগ্রসর হন এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহন করুন ।
আপনি আপনার আয়নার সামনে নিচের কথাগুলো লিখে রাখতে পারেন। এবং প্রতিদিন পড়ে নিজে সেই অনুযায়ী অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। আপনার এই ছোট ছোট অভ্যাসগুলোই আপনার জীবনকে পরিবর্তন করবে।
The Serenity Prayer:
“God, grant me the serenity to accept the things I cannot change;
the courage to change the things I can;
and the wisdom to know the difference.”
রাতে পরিমিত ঘুম ও দৈনিক কিছু শারীরিক ব্যায়ামের অভ্যাস তৈরি করতে পারেন, এগুলো আমাদের মন ও শরীর উভয় শান্ত ও ভালো রাখতে সহায়তা করে। আপনার লিখা অনেক গোছানো, তাই নিয়মিত ডায়েরি লেখার অভ্যাস তৈরি করতে পারেন। প্রতিদিন লিখার অভ্যাস থাকলে আপনার মন হালকা হবে এবং ভালো বোধ করবেন।
এছাড়াও আপনি প্রতিদিন Self-Love Book লিখতে পারেন, এজন্য আপনাকে ছোট একটা পকেট ডায়েরি/নোট বুক নিতে হবে। প্রতিদিন আপনি সেটাতে আপনার সম্পর্কে পাঁচটি করে ইতিবাচক শব্দ/বাক্য লিখবেন। যেমন, আমি চাকরি করি , ফ্যামিলিকে সাপোর্ট করি, ভালো লিখতে পারি ইত্যাদি ইত্যাদি।
যেহেতু আপনি একজন মনোবিজ্ঞানীর কাছ থেকে দীর্ঘদিন ধরে পরামর্শ নিচ্ছেন নতুন কোনও কিছু জানার প্রয়োজন হলে বা কোনও সমস্যা পরিলক্ষিত হলে উনার বা যে কোন সাইকোলজিস্ট এর পরামর্শ নিতে পারেন। যিনি আপনার সমস্যা শুনে কিভাবে আপনার জীবনকে আরও সুন্দর করা যায় সে ব্যাপারে আপনাকে সাহায্য করবে। এছাড়াও আমাদের ‘মনচিঠি’ টিম সব সময় আপনার পাশে আছে। যেকোন প্রয়োজনে আমাদেরকে লিখতে পারেন।
মোঃ মোজাম্মেল হক তায়েফ
২০-০২-৩১, পিয়ার কাউন্সেলর, মনচিঠি by DUOS
mmh.decp8.du@gmail.com
📞 ভয়েস কলে কাউন্সেলিং/মানসিক স্বাস্থ্য পরামর্শ পেতে এখানে ক্লিক করে ফরমটি পূরণ করতে হবে।
👩⚕️ এ ছাড়াও ইমেইল আইডি, ফেসবুক পেজ এবং সেলফোন নম্বরে যোগাযোগ করে মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা পাওয়া যাবেঃ
👍 ফেসবুক পেজ (ক্লিক করুন)
💬 ফেসবুক মেসেঞ্জার (ক্লিক করুন)
📞 সেলফোন নম্বর : 01841 21 52 71
📧 ইমেইল আইডি : monchithi.duos@gmail.com
🌐 বিস্তারিতঃ www.duos.org.bd/monchithi
This blog was? how do you say it?
Relevant!! Finally I have found something which helped me.
Many thanks!
Great blog here! Also your web site loads up very fast!
What web host are you using? Can I get your affiliate link to your host?
I wish my web site loaded up as fast as
yours lol
That is a great tip especially to those fresh to the blogosphere.
Short but very precise information? Many thanks for sharing this one.
A must read post!
Hello my family member!
I want to say that this article is amazing, great
written and come with approximately all vital infos.
I’d like to see more
posts like this .
I do consider
all of the ideas you have offered on
your post. They are really convincing and will definitely work.
Nonetheless, the posts are very quick
for newbies. May you please lengthen them a bit
from next time?
Thank you for the post.
Very great post. I simply stumbled
upon your blog and wanted to mention
that I have truly loved browsing your blog
posts. In any case I will be subscribing to your rss feed and I hope
you write again very soon!
Good web site you have got here..
It’s hard to find excellent writing
like yours nowadays. I really appreciate people like you! Take care!!
I go to see each day a few websites and blogs to read content,
except this web
site gives feature based
content.
of course like your web site but you have
to take a look at the spelling on several of your posts.
A number of them are rife with
spelling problems and I to find
it very bothersome to tell the truth then again I’ll surely
come again again.
I think the admin of this site is actually working hard for his web page, for the reason that here every material
is quality based stuff.
my web page shop for weed online
Hi everyone, it’s my first go to see at this web page, and piece of writing is actually
fruitful in support of me, keep up posting these types of articles or reviews.
Here is my web page dispensaries near me
Hey would you mind stating which blog platform you’re
using? I’m planning to start my own blog in the near future but I’m having a hard time making a decision between BlogEngine/Wordpress/B2evolution and Drupal.
The reason I ask is because your design and style seems different then most blogs and
I’m looking for something unique. P.S My apologies for getting off-topic but I had to ask!
Take a look at my site … THC Gummies
It is really a great and helpful piece of info. I am glad
that you just shared this helpful info with us. Please stay us informed
like this. Thanks for sharing.
My webpage … marijuana gumies
Oh my goodness! Amazing article dude! Thank you, However I am going through difficulties
with your RSS. I don’t understand why I can’t subscribe to it.
Is there anyone else getting the same RSS problems?
Anyone who knows the answer will you kindly respond?
Thanx!!
Feel free to surf to my homepage; Instagram followers
If some one needs to be updated with most recent technologies afterward he must be pay a quick visit this web site and be up to date every day.
Here is my web blog – buy Instagram followers Buzzoid (http://www.heraldnet.com)
That is a great tip particularly to those
new to the blogosphere. Simple but very precise info… Appreciate your sharing this one.
A must read article!
my blog post :: delta 8 carts
It’s perfect time to make some plans for the long run and it’s time to be happy.
I have read this submit and if I may I want to counsel you few interesting things or advice.
Perhaps you can write subsequent articles regarding
this article. I want to learn more things approximately it!
Look into my web-site … delta 8 THC area 52