স্বপ্ন পূরণের মুহূর্তটি লিংকডইনে সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করেছেন কোহেন।
ছবি : ইন্টারনেট
‘একবার না পারিলে দেখ শতবার’—কবিতার লাইনটি পড়া যতটা না সহজ, ধৈর্য ধরে লক্ষ্য অর্জনে লেগে থাকা কিন্তু ততটা সহজ নয়। তবে কিছু মানুষ লক্ষ্য অর্জনে বিরল নজির গড়েন। তাদেরই একজন টাইলার কোহেন। শতবার না হলেও ৪০ বারের চেষ্টায় তিনি চাকরি পেয়েছেন টেক জায়ান্ট গুগলে। খবর এনডিটিভির।
গুগলে চাকরি করার স্বপ্ন ছিল কোহেনের। এই স্বপ্ন পূরণে কোনো কিছুই তাঁকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। ফলে তাঁর ৩৯তম আবেদন প্রত্যাখ্যাত হলেও থেমে যাননি। শেষ পর্যন্ত ৪০তম আবেদনে সফল হন কোহেন।
স্বপ্ন পূরণের মুহূর্তটি লিংকডইনে সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করেন কোহেন। এতে গুগল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাঁর ই–মেইল যোগাযোগের একটি স্ক্রিনশট পোস্ট করেন। দেখা যায়, ১৯ জুলাই গুগলে তাঁর চাকরি পাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়।
কোহেন যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতে বসবাস করেন। গুগলে চাকরির আগপর্যন্ত ‘ডোরড্যাশ’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানে অ্যাসোসিয়েট ম্যানেজার (স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড অপস) হিসেবে তিনি কর্মরত ছিলেন।
লিংকডইন পোস্টে কোহেন ছোট্ট করে লিখেছেন, ‘অধ্যবসায় ও পাগলামির মাঝে সুন্দর একটি সীমারেখা আছে। আমি এখনো বোঝার চেষ্টা করছি, আমার কোনটা আছে। ৩৯বার প্রত্যাখ্যান, একবার গ্রহণ।’
কোহেনের পোস্টটি ভাইরাল হয়ে যায়। এই পোস্টে প্রায় ৪০ হাজার ব্যবহারকারী লাইক দেন। কমেন্ট করেছেন ৯ শতাধিক ব্যবহারকারী।
কোহেনের পোস্ট করা স্ক্রিনশটে দেখা যায়, ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট তিনি প্রথমবার গুগলে চাকরির আবেদন করেন। কিন্তু তাঁর আবেদন গ্রহণ করা হয়নি। তিনি হাল ছেড়ে দেননি। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে আরও দুবার আবেদন করেন তিনি। এই যাত্রায়ও তিনি ব্যর্থ হন।
স্ক্রিনশটে আরও দেখা যায়, এরপর আট মাসের বিরতি দেন কোহেন। এরপর ২০২০ সালের জুনে করোনা মহামারির সময় আবার আবেদন শুরু করেন। গত ১৯ জুলাই গুগল তাঁকে চাকরির জন্য মনোনীত করার আগপর্যন্ত তিনি এভাবে আবেদন করেই যেতে থাকেন।
দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর কোহেনের এমন অর্জনে অনেকেই অভিভূত। তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে কেউ কেউ পোস্টে কমেন্ট করেন। একই সঙ্গে চাকরির জন্য নিজেদের একের পর এক আবেদন করার অভিজ্ঞতাও জানান।
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘অ্যামাজনে চাকরি হওয়ার আগপর্যন্ত আমার ১২০টির বেশি আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘আমার ৮৩তম আবেদন চলছে। ৫২টি প্রত্যাখ্যান আর একটির বিষয়ে অপেক্ষায় (চূড়ান্ত পর্ব)। নির্মম বটে।’
সূত্র : প্রথম আলো